ভূমির দাম বাড়ছে
বর্তমানে কক্সবাজারের মত পর্যটন স্পটে জমির দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে একই দামে এমন লোকেশনে হোটেলের শেয়ার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাই এখনই সময় বিনিয়োগ করার। ইনফ্লেশন ও ব্যাংকে সুদের হার কম। বর্তমানে ব্যাংকে টাকা রেখে যে মুনাফা পাওয়া যায়, তা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল রাখতে পারে না। কিন্তু হোটেল শেয়ারে বিনিয়োগ করলে আপনি ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি রিটার্ন পেতে পারেন।
ব্যবসা না করেও আয়
অনেকেই ব্যবসা করতে চান কিন্তু সময় ও অভিজ্ঞতার অভাবে করতে পারেন না। জাহাজপুরা ক্যাসেলে শেয়ার কিনে আপনি ব্যবসার মালিক হবেন, কিন্তু পরিচালনার ঝামেলা থাকবে না।
সিদ্ধান্ত আপনার – ভবিষ্যতও আপনার
আজকের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামী দিনের আয়ের উৎস। হোটেল ব্যবসায় শেয়ার কেনা কেবলমাত্র একটি বিনিয়োগ নয়, এটি একটি সম্মানজনক, লাভজনক এবং নিরাপদ সম্পদের মালিক হওয়ার সুযোগ।
২০২৬ সাল থেকে কেন হোটেল ইনভেস্টমেন্ট একটি সেরা ইনভেস্টমেন্ট হবে?
বিশ্ব অর্থনীতির ধারাবাহিক পরিবর্তন, প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি—এই সবকিছুর সম্মিলিত প্রভাবে হোটেল খাতটি দ্রুত উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পর্যটন এলাকা যেমন কুয়াকাটা, কক্সবাজার, বান্দরবান, সেন্ট মার্টিন-এ হোটেল বিনিয়োগ এখন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে।
২০২৬ সাল থেকে হোটেল সেক্টরে বিনিয়োগ করার জন্য এটি হবে এক ‘গোল্ডেন টাইম’। নিচে ব্যাখ্যা করছি কেন:
১. পর্যটন খাতে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি
২০২৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে পর্যটক প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
o আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় পর্যটকদের আগমনে ঘরতি চাহিদা তৈরি হবে
o পর্যটন করিডোর প্রকল্প হোটেল শিল্পকে আরও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক করে তুলবে
২. প্যাসিভ ইনকামের নিরাপদ মাধ্যম
হোটেল শেয়ার, কন্ডো বা রুম মালিকানা মডেলে বিনিয়োগ করে মাসিক বা বার্ষিক প্যাসিভ ইনকাম অর্জন করা সম্ভব।
o নির্দিষ্ট রুম বা ইউনিট থেকে আয়
o শেয়ার হোল্ডারদের জন্য প্রফিট শেয়ার
o কোনো ঝামেলা ছাড়াই নিয়মিত রিটার্ন
বিশেষ করে যারা চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি নিরাপদ আয়ের উৎস খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ বিনিয়োগ।
৩. সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি ও পুনঃবিক্রয় মূল্য
হোটেল বা রিসোর্ট প্রকল্পে বিনিয়োগ করা মানেই শুধু আয় নয়, এটি একটি সম্পদের মালিকানা। ভবিষ্যতে চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আপনি চাইলে আপনার ইউনিট বা শেয়ার বিক্রি করেও বড় লাভ করতে পারেন।
o রিয়েল এস্টেটের মতো করে রিটার্ন
o পরবর্তীতে উচ্চ মূল্যে পুনঃবিক্রয়ের সুযোগ
৪. প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক হোটেল মডেল
২০২৬ সালের পর থেকে হোটেলগুলো হবে প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্ট রুম, AI-ভিত্তিক বুকিং সিস্টেম, অনলাইন চেক-ইন/আউট ইত্যাদির ফলে পরিচালনার খরচ কমে আসবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়বে। এতে লাভের পরিমাণ আরও বেশি হবে।
৫. নিরাপদ ও স্থিতিশীল খাত
হোটেল ব্যবসা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। রিয়েল এস্টেট বা শেয়ার মার্কেটের মত হঠাৎ করে বড় ক্ষতির ঝুঁকি কম। পর্যটন বাড়লে আয় বাড়ে, কমলেও সম্পদ রয়ে যায়।
৬. দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে ব্যবহারের সুবিধা
যদি আপনি এমন কোনো হোটেল বা রিসোর্ট ইউনিটে বিনিয়োগ করেন যেখানে মালিকানা ভিত্তিক মডেল চালু থাকে, তবে আপনি সিজন অনুযায়ী নিজেই সপরিবারে ভ্রমণের সময় ঐ ইউনিট ব্যবহার করতে পারবেন।
o ছুটিতে নিজের রুমে থাকা
o ভাড়ার পাশাপাশি পার্সোনাল ইউজ
o একটি লাইফস্টাইল ইনভেস্টমেন্ট
৭. সরকারের পর্যটন সহায়ক নীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনা
বাংলাদেশ সরকার পর্যটন শিল্পকে উন্নয়নশীল অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। নতুন নতুন বিমানবন্দর, এক্সপ্রেসওয়ে, সমুদ্র সৈকত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পর্যটন অঞ্চলগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে।
২০২৬ সাল হোটেল ইনভেস্টমেন্টের জন্য পারফেক্ট টাইম
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যারা ভবিষ্যতের জন্য একটি নিরাপদ ও লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট খুঁজছেন, তাদের জন্য হোটেল ইনভেস্টমেন্ট হবে পরবর্তী দশকের সেরা সিদ্ধান্তগুলোর একটি।
আপনি চাইলে এখন থেকেই দেশের বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট-ভিত্তিক হোটেল প্রজেক্টে শেয়ার বা রুম কিনে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।
মনে রাখুন:
“ভবিষ্যতের স্মার্ট ইনভেস্টররা শুধু টাকা জমায় না, টাকা এমন জায়গায় রাখে যেখানে তা নিজের মতো করে কাজ করে।”